জঙ্গলমহলে একটি দিন
কখনো কখনো ঘরের চৌহদ্দটুকুই বুঝি নিতান্ত তুচ্ছ মনে হয়। পায়ের তলার সর্ষে গুলো চঞ্চল হয়ে ওঠে রীতিমতো। আর এমন মেজাজেই শুরু হয়ে যায় পথে বেরিয়ে পড়ার নানান ফিকির। পাহাড় , জঙ্গল নাকি সমুদ্র?ভাবনাটা গাঢ় হতে না হতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নি এবার জঙ্গলমহল।
আর জঙ্গলমহল বলতেই যে ছবিটা ভেসে আসে শাল, শিমুল, পিয়াল, জারুল, মহুয়ায় সাজানো প্রকৃতির সাজঘর ঝাড়্গ্রাম। রুখু মাটি - শাল পিয়ালের গা বাঁচিয়ে চলা লাল পাথুরে পথঘাট। গ্রীষ্মের মহুয়ার মৌতাতে মাতাল করা সুবাস, লাল পলাশের চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য, বর্ষার লাল মাটির সোঁদা গন্ধ আর শীতের মিষ্টি খেজুর রস সবই পাবেন ঝাড়্গ্রামে। জঙ্গলমহল - জামবনি - চিল্কিগড় - গিধনি - বেলপাহাড়ি - কাঁকড়াঝোড় ঝাড়গ্রামের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা এক একটি মনিমানিক্য।
আর জঙ্গলমহল বলতেই যে ছবিটা ভেসে আসে শাল, শিমুল, পিয়াল, জারুল, মহুয়ায় সাজানো প্রকৃতির সাজঘর ঝাড়্গ্রাম। রুখু মাটি - শাল পিয়ালের গা বাঁচিয়ে চলা লাল পাথুরে পথঘাট। গ্রীষ্মের মহুয়ার মৌতাতে মাতাল করা সুবাস, লাল পলাশের চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য, বর্ষার লাল মাটির সোঁদা গন্ধ আর শীতের মিষ্টি খেজুর রস সবই পাবেন ঝাড়্গ্রামে। জঙ্গলমহল - জামবনি - চিল্কিগড় - গিধনি - বেলপাহাড়ি - কাঁকড়াঝোড় ঝাড়গ্রামের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা এক একটি মনিমানিক্য।
কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রামের দুরত্ব ১৮০ কিমি।কলকাতা থেকে NH6 ধরে ১৬৪ কিমি লোধাশুলি থেকে ডানহাতি পথে গড় শালবনি হয়ে ১৬ কিমি গেলেই ঝাড়গ্রাম। সময় লাগে ৩.৩০ ঘন্টা। ট্রেনে গেলে হাওড়া স্টেশন থেকে স্টিল এক্সপ্রেস ধরে সোজা ঝাড়গ্রাম। সময় লাগে ৩ ঘন্টা।
২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রাম মহকুমাটিকে নিয়ে এই জেলাটি গঠিত হয়। এটি পশ্চিমবঙ্গের ২২তম জেলা।
ঝাড়গ্রাম শহরের প্রধান আকর্ষন ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি। প্রথম পুরুষ সর্বেশ্বর ছিলেন রাজপুতানার ক্ষত্রিয়। মল্লদেব রাজবংশের পত্তন করেন তিনি। তবে বর্তমান রাজবাড়িটি ১৯৩১ সালে ৭০ বিঘে জমির উপর মুসলিম গথিক শিল্পরীতিতে তৈরি করিয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের সর্বশেষ রাজা নরসিংহ মল্লদেব। তাঁর নাতি দুর্গেশ মল্লদেব জানান, প্রাসাদটিকে গত সাড়ে চার দশকে বহু বার বড় পর্দায় দেখেছেন বাংলা সিনেমার দর্শক। কখনও ‘বাঘবন্দি খেলা’য় ভবেশ বাড়ুজ্জের বাড়ি, তো কখনও ‘সন্ন্যাসী রাজা’র সূর্যকিশোর নাগচৌধুরীর প্রাসাদ হিসেবে। সত্তরের দশকে উত্তমকুমার এসেছিলেন ‘বাঘবন্দি খেলা’ ও ‘সন্ন্যাসী রাজা’ ছবির শু্যটিংয়ে। ওই সময় এক তলার পর্যটক আবাসে ছিলেন মহানায়ক ও কলাকুশলীরা। মূলত প্রাসাদের সিংহদুয়ার থেকে সামনের বাগানে ও এক তলায় শু্যটিং হয়েছিল। তারপরও কিছু ছবির শু্যটিং হয়েছে। কিন্তু প্রথা অনুযায়ী, প্রাসাদের দোতলায় সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার নেই। দোতলায় থাকেন রাজ পরিবারের উত্তরসূরিরা। তাই দোতলায় কাউকেই শু্যটিংয়ের অনুমতি দেননি ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি কর্তৃপক্ষ।শুধু সন্দীপ রায়ের জন্য একবারই প্রথা ভেঙেছিল রাজ পরিবার। ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথা ভেঙে সেই প্রথমবার প্রাসাদের দোতলার ঘরে এবং তিন তলার সিঁড়িতে ও চিলেকোঠার রঙিন শার্সি লাগানো ঘরে ‘টিনটোরেটোর যিশু’র ‘টিম ফেলুদা’কে শু্যটিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
রাজবাড়ি চত্বরেই পর্যটকদের থাকার বন্দোবস্ত। নাম ‘দ্য প্যালেস ট্যুরিস্ট রিসর্ট’। দু’টি সুপার ডিলাক্স ও দু’টি ডিলাক্স-সহ মোট ১০টি ঘর রয়েছে। আছে তিনটি ডরমেটরিও। এক সঙ্গে প্রায় ৫০ জন পর্যটক এখানে থাকতে পারেন। রাজপরিবার ও রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগম যৌথ ভাবে বর্তমানে এই রিসর্টটি চালায়।
মল্ল রাজাদের খাস মহলে ৪০ বিঘা ব্যপ্ত উদ্যানে মহুয়া শাল আর কাজু বাগানে গড়ে উঠেছে আর এক প্রকৃতি নিবাস শালবনি রিট্রিট।
ইতিহাস বলে, চিলকিগড়ের সামন্ত রাজা গোপীনাথ সিংহ তৈরি করেন এই মন্দির। স্বপ্নাদেশ পেয়ে স্ত্রীর হাতের কাঁকন দিয়ে মূর্তি তৈরি করান তিনি। স্থানীয়রা বলেন, আগে নাকি এখানে নরবলি হত। দেবীর নির্দেশে তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে বলি আজও হয়। পাঁঠাবলি। অষ্টমীর রাতে। মন্দিরের পাশে গভীর জঙ্গলের মধ্যে। নিশা পুজোয় অংশ নেন শুধুমাত্র জপরিবারের সদস্যরাই। স্থানীয়দের বিশ্বাস , নবমীর ভোগ রান্না করেন স্বয়ং দুর্গা।
মাও আমলে ২০০৭-২০০৮-য়ে দুবার চুরি যায় মূর্তি। নতুন করে তৈরি হয় অষ্টধাতুর মূর্তি। মন্দিরে বসে সিসিটিভি। পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রেও জায়গা করে নেয় কনকদুর্গা মন্দির। মন্দির লাগোয়া বিশাল ভেষজের জঙ্গল। পরিচর্যার অভাবে দামী দামী ওষুধের গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। বর্তমানে গাছের রক্ষণাবেক্ষণে রাখা হয়েছে রক্ষী। তৈরি হয়েছে চেকপোস্ট। ভগ্নপ্রায় চিলকিগড়ের রাজবাড়ি ও কনকদুর্গা মন্দিরের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে ডুলুং নদী । পুজো উপলক্ষে সেজে ওঠে পুরো এলাকা।
কনক দুর্গা মন্দির
চিলকিগড়ের রাজবাড়ি |
মেজাজটাই তো আসল রাজা আমি রাজা নয় |
মন্দির আর রাজবাড়ি দেখে এগিয়ে চলুন বেলপাহাড়ির দিকে। শালে ঢাকা ছোটো ছোটো টিলার মধ্যে দিয়ে ৪৫ কিমি রাস্তা পেরিয়ে আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম এই বেলপাহাড়ি। বেলপাহাড়ি থেকে লাল সুরকির পথে ৯ কিমি দূরে আর এক স্বপ্নপুরী ঘাঘরা। তারাফেনির অনাবিল জলধারা নিস্তব্ধতা ভাঙছে মৌনী বনভুমির। অদুরে তারাফেনি ব্যারেজ। কংসাবতীর জল বন্দী করা হয়েছে ১০ লকের বাঁধে।
এবার ঘরে ফেরার পালা। ফেরার পথে শিলদা - রায়পুর - তালডাঙা - কোতুলপুর হয়ে পথ চলে গেছে জয়পুর জঙ্গলে। এখানে বনলতা রিসর্টে সাময়িক বিরতি আর পেটপুজার পর্ব সাঙ্গ করে যখন বাড়ির পথে এগোলাম তখনো যেন সেই গানের রেশটাই চলছে...
লাল পাহাড়ের দেশে যা
রাঙ্গামটির দেশে যা
ইত্থাক তুকে মানাইছে না রে
ইক্কেবারে মানাইছে না রে
Hotel At Jhargram :- ( Collected from Net )
Salboni Retreat :
Garh Salboni, Jhargram, Paschim Medinipur, W.B.
Mr. Bhaskar Dasgupta
Phone : 9432 863167
Aranya Sundari Guest House
Sibasis Chatterjee
Jail Khana More, Ghoradhara, Jhargram, Paschim Medinipur, W.B.
Phone: +91-3221-256872 | Mob: +91-9547668966.
Doolung Guest House
Arindam Acharya
Near Hindi School, Ghoradhara, Jhargram, West Bengal 721507
Ghoradhara, Jhargram, Paschim Medinipur, W.B.
Phone: 096144 69131 / 03221-255909
ESHANI Guest House
Atanu Das
Natundihi (Near Local Board), Jhargram, Paschim Medinipur, W.B.
Mob: +91-9733736372, 9232772761, 8016103128
Kaushalya Heritage
Garh Salboni, Jhargram, Paschim Medinipur, W.B.
9830634541 / 9874815102
Banani Atithi Nibas
Kadam Kanan, Jhargram,Paschim Medinipur
Ph: 03221-257945
The Palace Resort
Jhargram Raj Palace, Jhargram, Paschim Medinipur, W.B.
Phone: +91-3221-255401 | Mob: +91-9635269416
Jhargram Raj Palace, Jhargram, Paschim Medinipur, W.B.
Phone: +91-3221-255401 | Mob: +91-9635269416
Comments
Post a Comment