Posts

Showing posts from December, 2019

স্ব_Car_এ_ঘুরোঘুরি

Image
# স্ব_Car_এ_ঘুরোঘুরি   # ভুমিকা   # প্রথম_পর্ব । 'এবারের পুজোর ট্রিপটা নিয়ে কিছু ভাবলে' -পুজোর ঠিক এক সপ্তাহ আগে আচমকাই বাউন্সারটা ধেয়ে এলো গিন্নীর কাছ থেকে।সত্যি বলতে কি অনেকদিন ধরেই এই বাউন্সারটা আশা করছিলাম কারন বিগত বছরগুলোতে জানুয়ারী থেকে অক্টোবরের মধ্যে বড় ছোটো মিলিয়ে প্রায় চার পাঁচটা ট্রিপ হয়ে যায় কিন্তু এই বছর বিভিন্ন কারণবশত সেভাবে বেরনোই হয়নি। আর পুজোর ছুটিতেও সেরকম কোন প্ল্যান করে ওঠা হয় নি। সুতরাং বাউন্সারটা আসাই স্বাভাবিক আর এই অবস্থায় এধরনের বাউন্সার গুলো সাধারণত ডাক করে দেওয়ার নিয়ম, কিন্তু কি ভিমরতি হলো সপাটে হুক করে বল্লাম, ব্যাগ গোছাও, চলো,দেবভুমি যাবো।হিমালয়ের কুমায়ুন আর গাড়োয়াল এই দুই পাহাড়ি এলাকা নিয়ে আজকের উত্তরাখণ্ড,আমাদের অতিপ্রিয় দেবভূমি। বিশ্বাসীর জন্য একরকম সৌন্দর্য আর অবিশ্বাসীর জন্য আর একরকম। বিধাতা এখানে প্রকৃতিকে ঢেলে সাজিয়েছেন। অজস্র নদী, ঝরনা, সবুজ বনানী, বুগিয়াল, ফুল আর পাখিতে সুসজ্জিতা প্রকৃতি যার প্রায় প্রতিটি স্থানের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে ঝুড়ি ঝুড়ি পৌরাণিক ও মহাভারতের গল্প। অক্ষয় তৃতীয়াতে মাথার উপর ঝুলে থাকা চ

সাঁচির অভ্যন্তরে

"বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি,   ধর্মং শরণং গচ্ছামি" দৃশ্য -১ চারপাশের লাশের স্তূপ থেকে এক আহত সৈনিক বের হয়ে এসেছেন। সারা শরীর ক্ষত-বিক্ষত এই সৈনিক জ্ঞান হারিয়ে চাপা পড়েছিলেন লাশের স্তূপের নিচে।  প্রচণ্ড তৃষ্ণায় বুক ফেটে যাচ্ছে।কিন্তু ভয় কি,  সামনেই বহমান দায়া নদী। হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি নদীর দিকে । এক আঁজলা জল না পেলে এই যাত্রা আর বাঁচা হলো না বোধহয় তার! নদীর কাছাকাছি চলে আসার পর উঠে বসলেন সৈনিক। যেই না জল স্পর্শ করতে যাবেন, তখনই ভয়ে শিউরে উঠলেন তিনি। অস্ফুট স্বরে বলে উঠলেন, “জল  কোথায়?” বিশাল দায়া নদীর পানি শুকিয়ে যায়নি। তা কল্পনায়ও অসম্ভব! তাহলে কী দেখে ভয় পেয়েছিলেন সেই সৈনিক? নদীর পানি ঠিকই বয়ে চলছিল আপন খেয়ালে। কিন্তু সেদিন দায়া নদীর জলের রঙ ছিল টকটকে লাল! হ্যাঁ,  উপমহাদেশের ইতিহাসে অন্যতম  রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত যুদ্ধ সম্রাট অশোকের কলিঙ্গ যুদ্ধের এক কাল্পনিক দৃশ্য দিয়েই আজকের গল্প শুরু করি। সেই যুদ্ধের ভয়াবহ দিন যত গড়াতে লাগে যুদ্ধের ময়দান ক্রমেই লাশের পর লাশের স্তূপ গড়ে ওঠে। কলিঙ্গের আকাশে তখন শুধু শকুনের আনাগোনা। যুদ্ধের রক্তপাতের তীব্রতা এতোই ছিল