Badami - the temple town





উত্তর কর্ণাটকের বাগালকোট জেলার বাদামী,Pattadakal,আর আইহোল -এই ট্রায়োটি চালুক্য সাম্রাজ্যের অপরূপ শিল্পকর্মের এক অসামান্য নিদর্শন।ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শতক পর্যন্ত দক্ষিণ ও মধ্য ভারতের অনেকখানি জুড়ে চালুক্য সাম্রাজ্যের আধিপত্য বিস্তার করেছিল।আইহোলের মন্দির গুলি চালুক্য সাম্রাজ্যের প্রথম দিকের কীর্তি।আইহোলের মত পাটটাডাকালও ( PATTADAKAL) একইরকম চালুক্য্ রাজাদের সৃষ্টি তবে আরও নিখুঁত। বিশেষত পাথর কেটে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি তৈরিতে তাদের নৈপুণ্য লক্ষ্য করা যায়।বাতাপি বা বাদামী কিন্তু অন্য ধরনের। মোট চারটি গুহায় শিল্পী দের অসামান্য দক্ষতায় গড়া গুহাচিত্র গুলি শুধু নির্বাক হয়ে দেখে যেতে হয়।ষষ্ঠ শতকে জয়সিংহ আইহোলে চালুক্য রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করলেও তাঁর পুত্র প্রথম পুলকেশী এই বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনি বাতাপি অর্থাৎ, বর্তমান বাদামিতে তাঁর রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। পাট্টাডকাল তাঁদের দ্বিতীয় রাজধানী।


  

        

বাদামি অতীতের নাম ছিল বাতাপি। এই বাতাপি নামকরণের পিছনে একটি সুন্দর পৌরাণিক গল্প আছে।রামায়ণের অরণ্যকাণ্ডের বর্ণনা অনুসারে এখানে  ইল্বল ও বাতাপি নামক দুই রাক্ষস বাস  করতো । প্রহ্লাদের ঔরসে এবং ধমনীর গর্ভে ইনি জন্ম গ্রহণ করেন। এর অপর ভাইয়ের নাম ছিল বাতাপি। একবার এক তপস্বী ব্রাহ্মণের কাছে ইল্বল এমন একটি বর চেয়েছিলেন, যাতে তাঁর একটি ইন্দ্রের মতো পুত্র জন্মে। ব্রাহ্মণ এতে সম্মত না হলে, ইল্বল প্রথমে মায়াবলে তাঁর ভাই বাতাপি-কে মেষে রূপান্তরিত করেন। এরপর উক্ত মেষের মাংস রান্না করে ব্রাহ্মণকে খেতে দিলেন। ব্রাহ্মণের খাওয়া শেষে, ইল্বল বাতাপি'র নাম ধরে ডাকলে, বাতাপি ব্রাহ্মণের পেট ফুঁড়ে বের হয়ে আসেন। ফলে, ব্রাহ্মণের মৃত্যু হয়। এইভাবে, ইল্বল ও বাতাপি সম্মিলিতভাবে অনেক ব্রাহ্মণকে হত্যা করেছিলেন।এরপর একদিন তেজস্বী অগস্ত্য মুনি এলেন এই স্থানে।ইল্বল তাঁকে যথেষ্ঠ আদর আপ্যায়ন করে ভোজনের জন্য অনুরোধ করলেন। একই ভাবে ইল্বল অগস্ত্যকে হত্যা করার জন্য মেষরূপী বাতাপি'র মাংস— অগস্ত্যকে দিয়েছিলেন। অগস্ত্যের খাওয়া শেষে ইল্বল বাতাপি'কে উচ্চস্বরে ডাকতে লাগলেন। কিন্তু বাতাপি অগস্ত্যের পেট থেকে বের হলো না। তখন অগস্ত্য জানালেন যে, বাতাপি সম্পূর্ণরূপে হজম হয়ে গেছে। এতে ইল্বল ভীত হয়ে, অগস্ত্যকে তার বাঞ্ছনীয় সম্পদ দান করে বিপদমুক্ত হন।

 এই বাতাপি তথা বাদামিতেই 543 খ্রিস্টাব্দে চালুক্য রাজবংশের যথার্থ প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রথম সার্বভৌম রাজা প্রথম পুলকেশী রাজধানী গড়ে তোলেন।তার পুত্র দ্বিতীয় পুলকেশী 610 খ্রিষ্টাব্দে চালুক্য রাজসিংহাসনে আরোহণ করেন। প্রবল প্রতাপশালী রাজা দ্বিতীয় পুলকেশী 642 খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন। 635 খ্রিষ্টাব্দে তিনি সম্রাট হর্ষবর্ধনকে যুদ্ধে পরাস্ত করেছিলেন। পল্লবরাজ প্রথম মহেন্দ্রবর্মণও তার হাতে পরাজিত হন। প্রথম পুলকেশীর পুত্র কীর্তিবর্মন ও তার ভাই মঙ্গলেশ ষষ্ঠ শতকের শুরুর দিকে বাদামিতে লাল বেলে পাথরের পাহাড় কেটে চারটি গুহামন্দির তৈরি করান যা ষষ্ঠ শতকের ভারতীয় rock-cut architecture বা বাদামী-চালুক্য আর্কিটেকচার হিসেবে বিখ্যাত।সকাল সকাল মাথাপিছু ২৫ টাকা করে টিকিট কেটে ঢুকে পড়লাম বাদামির গুহামন্দিরে।প্রথম গুহাটি শৈবগুহা, দ্বিতীয়টি বৈষ্ণবগুহা, তৃতীয়টি মহাবিষ্ণুগুহা এবং চতুর্থটি জৈনগুহা।

প্রথমেই শৈব গুহামন্দির।ঢুকতেই চোখে পড়ে  মন্দিরের ডানদিকে তাণ্ডব নৃত্যরত নটরাজ শিব মূর্তি। পাশের দেওয়ালে দুই বাহু বিশিষ্ট গণেশ আর মহিষাসুরমর্দিনী। ভিতরের দেওয়ালে খোদাই করা আধা শিব ও আধা বিষ্ণুর সমন্বয়ে গঠিত হরিহর সঙ্গে বাহন বৃষ ও গরুড় এবং পার্বতী ও লক্ষ্মীর মূর্তি। 


দ্বিতীয় বিষ্ণু গুহামন্দিরের মুখ্যমণ্ডপের দুই পাশে দ্বাররক্ষী জয় ও বিজয় দণ্ডায়মান । অনন্ত নাগের উপর শ্রী বিষ্ণু, তাঁর বামন অবতার ও সিলিং এ বিষ্ণু শিব ব্রহ্মা মূর্তির কারুকার্য অভিনব। 

দ্বিতীয় এবং তৃতীয় গুহার মাঝে সৃষ্ট  প্রাকৃতিক গুহাটিতে পদ্মপাণিরূপী বুদ্ধ মূর্তি খোদাই করা আছে । 


 তৃতীয় মহাবিষ্ণুগুহাটি আয়তনে বৃহত্তম এবং রাজাদের রাজ্যাভিষেকের স্মারক রূপে গঠিত। কারুকার্যময় এই গুহায় শিব ও বিষ্ণু উভয়ের মূর্তি রয়েছে। মহামণ্ডপের প্যানেলে শ্রীবিষ্ণুর বরাহ অবতার আর ডান দিকে বিষ্ণু ত্রিবিক্রমের মূর্তি ধারণ করেছেন। মন্দিরটির থাম, সিলিং ও দেওয়ালে অত্যন্ত সুচারুরূপে খোদিত  ফুল, লতাপাতার চিত্র,নৃসিংহ ও হরিহরের মূর্তি  এবং  ফ্রেস্কো চিত্রগুলি দেখার মত। 

চতুর্থ গুহাটি  জৈন মন্দির। দেওয়ালে জৈন তীর্থঙ্কর আদিনাথ, পদ্মাবতী, বাহুবলী, মহাবীর, বর্ধমান এঁদের মূর্তি খোদিত আছে।  এটি সর্বোচ্চ গুহা, এখান থেকে নিচে অগস্ত্য লেকের পাশে ভূতনাথ মন্দির ও অপর পাশে পাহাড়ের উপর বাদামি দুর্গের দৃশ্য দেখতে অপূর্ব লাগে । 

এছাড়া বাদামির দ্রষ্টব্য স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম :-

1. ভূতনাথ মন্দির ( মূল দ্রষ্টব্য মন্দির )

2. মল্লিকার্জুন মন্দির।

3. আর্কিওলজিক্যাল মিউজিয়াম।

4. উচ্চ শিবালয় মন্দির।

5. নিম্ন শিবালয় মন্দির।

6.বাদামি ফোর্ট।

7.মালগাট্টি শিব মন্দির।


মিউজিয়ামের পাশ দিয়ে সরু রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলাম ভূতনাথ মন্দিরের দিকে। এখানে দুটো প্রধান মন্দির আছে। অগ্যস্ত লেকের পূর্ব দিকে প্রথম মন্দিরটি হলো  ভূতনাথ মন্দির। এটি একটি শিব মন্দির, ভেতরে আঠার হাতের শিব, নৃসিংহ, মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গা মূর্তি রয়েছে। 


একই রকম আরেকটি মন্দির আছে লেকের  উত্তর-পূর্ব দিকে যাকে মল্লিকার্জুন গুচ্ছ মন্দির বলে।মন্দিরের ভিতরের বারান্দা ৭ম শতকের বাদামি রাজত্বকালে নির্মিত। আর হ্রদ সংলগ্ন বাইরের বারান্দার কাজ শেষ হয় ১১ শতকে কল্যাণী চালুক্য সময়ে।

এবার মহাকূটেশ্বর মন্দির, বাদামি থেকে যেতে মিনিট পনের মতো সময় লাগলো।ভুল করেও এখানে গোগেল খুড়োর শরনাপন্ন হবেন না। তাহলে কপালে যৎপরনাস্তি ভোগান্তি আছে।

সপ্তম শতকে তৈরি  মহাকূটেশ্বর শিব মন্দির প্রাচীন  কাশীতীর্থ নামেও পরিচিত । মন্দিরের চূড়াটি অষ্টভূজ গম্বুজাকৃতি যার গায়ে ধাপে ধাপে বিভিন্ন দেব দেবীর  মূর্তি খোদাই করা আছে। অনেক ছোট ছোট শিব মন্দির ছড়িয়ে রয়েছে এই চত্বরে। বলা হয় এখানকার পবিত্র সরোবর বা বিষ্ণু পুষ্করিণীতে ডুব দিলে নাকি সর্বপাপমুক্ত হওয়া  যায়।



এর পরের গন্তব্য Pattadakal যা বাদামী থেকে প্রায় ২৩ কিমি দূরত্বে অবস্থিত।মালপ্রভা নদীর বামতীরে অবস্থিত  চালুক্য রাজাদের দ্বিতীয় রাজধানী রক্তপুরের বর্তমান নাম পট্টডাকাল। পট্টডাকাল এর আক্ষরিক অর্থ হল 'রাজ্যাভিষেকের স্থান'। চালুক্য ও পরবর্তী কালে অন্যান্য অনেক  রাজাদের এখানে রাজ্যাভিষেক হয়েছে।  পট্টডাকালের এই  মন্দির গুলি  ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্গত। পট্টডাকালের সব মন্দির পাশাপাশি এই একটা কমপ্লেক্সের ভেতরে l এই কমপ্লেক্সের ভেতর মূলত 9টা হিন্দু মন্দির ও একটা জৈন মন্দির আছে lএর মধ্যে  চারটি উত্তর ভারতীয় নাগরি এবং ছয়টি দক্ষিণ ভারতীয় দ্রাবিড়ীয় শৈলীতে তৈরী।  মন্দিরগুলি হলো কাদসিদ্ধেশ্বর মন্দির, জাম্বুলিঙ্গেশ্বর মন্দির , গলগনাথ মন্দির,  চন্দ্রশেখর মন্দির,  সঙ্গমেশ্বর মন্দির, বিশ্বনাথ মন্দির, মল্লিকার্জুন মন্দির, বিরূপাক্ষ মন্দির এবং পাপনাথ মন্দিরl 

মন্দির চত্বরের সবচেয়ে প্রাচীন মন্দির হলো   সঙ্গমেশ্বর মন্দির,  দ্রাবিড়ীয় শৈলীতে এটি তৈরি করেন রাজা বিজয়াদিত্য।




আবার আয়তনের দিক দিয়ে সবচেয়ে  বড় হলো  বিরূপাক্ষ মন্দির। এখনো নিয়মিত পুজো হয় এখানে। মন্দিরের স্তম্ভ গুলিতে পুরাণের বিভিন্ন কাহিনি,রামায়ণ মহাভারতের আখ্যান এবং সেই যুগের সমাজ ব্যবস্থার বর্ণনা করা আছে। পল্লব দের সাথে যুদ্ধ জয়ের স্মারক রূপে কাঞ্চি থেকে কারিগর এনে রাণী লোকমহাদেবী এই মন্দিরটি তৈরী করান তাই প্রথমে এর নাম ছিল লোকেশ্বর মন্দির ।মন্দিরের  উল্টোদিকের মন্ডপে   শিবের অনুচর নন্দীর মূর্তি আছে । 



এর পাশেই রানী ত্রৈলোক্য মহাদেবী তৈরি করান  মল্লিকার্জুন মন্দির  মন্দিরের গায়ে  নৃত্যরত শিব মূর্তি,  ভৈরব মূর্তি,  শিব - পার্বতীর মূর্তি ইত্যাদি খোদাই করা আছে বিভিন্ন আঙ্গিকে।

পট্টডাকালের থেকে আইহোলের দূরত্ব পায় ১০ কিমি।পথে পরবে মালপ্রভা নদী। হ্যাঁ, এই সেই মালপ্রভা নদী যেখানে পরশুরাম ক্ষত্রিয় নিধন সেরে নিজের কুঠার ধুচ্ছিলেন আর নদীর জল সাথে সাথে রক্তে লাল হয়ে যায় l তাই দেখে ভয়ে এক নারী আর্তনাদ করে বলে উঠেছিলেন, "আইইও হোলে" (রক্ত ) ! ব্যাস সেই থেকে নাকি জায়গাটার নাম হয় আইহোলে।

চতুর্থ- অষ্টম শতকে চালুক্য রাজাদের প্রথম  রাজধানী ছিল অতীতের  আর্যপুরা বা বর্তমানের  আইহোল। ভারতীয় নাগরি , জৈন ও দ্রাবিড়ীয় স্তাপত্যের সমন্বয়ে পাথর কেটে সম্পূর্ণ পৃথক শৈলীতে এখানে মোট 125 টি মন্দির নির্মান করা  হয়।  



প্রথমে গেলাম আইহোলের সেরা আকর্ষণ দুর্গগুডি মন্দির। মন্দিরের পিছনের দিকটি অর্ধবৃত্তাকার যাকে  ভারতীয় স্থাপত্য শৈলীতে 'গজপ্রস্থ' বলা  হয় , অজন্তায় নির্মিত বৌদ্ধ চৈত্য এর সাথে এই আকারের বেশ মিল আছে।নামে দুর্গা মন্দির হলেও এর প্রধান দেবতা বিষ্ণু। মন্দিরের  দেওয়ালজুড়ে রামায়ন ও মহাভারতের আখ্যান, শিব,বিষ্ণু ও মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গা , অর্ধেক শিব ও অর্ধেক বিষ্ণুর সমন্বয়ে হরিহর,  ব্রহ্মা, সূর্য, বরাহ ও  নৃসিংহের মূর্তি খোদাই করা আছে।

দূর্গামন্দির থেকে একটু ডান দিকে  এগিয়ে যেতেই পড়বে লাড খান মন্দির।।ষষ্ঠ শতকের প্রথমভাগে তৈরি আইহোলের প্রাচীনতম মন্দির এটি। । বলা হয় মন্দির তৈরির বেশ কয়েক শতক পরে সুলতানী আমলে আদিল শাহী সুলতানের সেনাপতি  'লাড খান' এই মন্দিরে বেশ কিছু দিন বসবাস  করেন, তাই এই মন্দিরটির নাম হয় লাড খান মন্দির। দ্রাবিড়ীয় ও  চালুক্য স্থাপত্যে গড়া  এই মন্দিরের প্রধান দেবতা শিব ও তার বাহন নন্দী। লম্বা লম্বা পাথরের ফালি পরপর সাজিয়ে তৈরি করা ছাদের গঠন অনেকটা কাঠের মন্দিরের মতো। 

এর কাছে আছে গৌডার গুডি, ষোলোটি স্তম্ভ বিশিষ্ট মন্দিরের ভিতরে কোনো বিগ্রহ নেই কিন্তু  প্রবেশদ্বারের মাথায় গজলক্ষ্মীর মূর্তি  দেখে অনুমান করা হয় মন্দিরটি দেবী পার্বতীর বা মহালক্ষ্মীর হতে পারে । শুনলাম চালুক্য রাজত্বকালে বণিকেরা এখানে পূজা দিতেন ।

 

এরপর পুষ্করিণীর পাশ দিয়ে গেলে পড়বে  চক্র  গুডি মন্দির, পূর্ব দিকে ভগবতী মন্দির ও আরেকটু সামনে এগোলে সূর্যনারায়ণ মন্দির।  মন্দিরের ভেতরে  ঊষা ও সন্ধ্যার সাথে  সূর্য দেবতার মূর্তি আছে।

দুর্গা মন্দির কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে পর পর দেখে গেলাম  অম্বিগেরা মন্দির,  হুচ্চিমালী মন্দির তারপর পাহাড় কেটে তৈরী করা রাবণফাদী গুহা।এর ভেতরের শিব পার্বতী,  নৃত্যরত দশ হাতের নটরাজ, আধা শিব আধা পার্বতীর অর্ধনারীশ্বরের মূর্তির কারুকার্য অসাধারণ। আর  হ্যাঁ উল্টোদিকে মেঘুতি পাহাড়ে আইহোল ফোর্ট, বৌদ্ধ ও জৈন গুহামন্দির গুলিও কিন্তু দারুন সুন্দর।জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দির কমপ্লেক্স তো একদম ফটোগ্রাফির আদর্শ জায়গা l আমাদের সব ঘুরে শেষ করতে প্রায় তিনটে বেজে যায়। লাঞ্চ করে গাড়ি স্টার্ট দি হায়দ্রাবাদের উদ্দেশ্যে। সেই গল্প আবার নাহয় অন্যকোনো দিন।






Comments

Popular posts from this blog

Keonjhar – A hidden Gem of Orissa

ঘাটশিলার ডায়েরী ( The story of Ghatshila )

মান্ডুর প্রেম কথা