চিতোরের পথে...

 "Sunshine on my shoulders make me happy" 

জন ডেনভার এর এই বিখ্যাত গান বোধহয় সব ভ্রমণপ্রিয় বাঙালিই একবার না একবার ঠিক গুনগুনিয়ে ওঠে।আমার ঘুড়ে বেড়ানোর নেশা সেই ছোটবেলা থেকেই । প্রথম জীবনে বাবার সামর্থ্য অনুযায়ী "দীপুদা" তেই মজে ছিলাম কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে গন্তব্যও পরিবর্তিত হতে শুরু করলো। আর তখনই আমার ভালবাসার গন্তব্যের একদম উচুতে স্থান পেলো ভারতীয় রাজপুত্রদের দেশ রাজপুতানা বা রাজস্থান।

আজ আমি বলবো চিতোরগড়ের গল্প।

কথায় আছে ‘গড় তো ব্যাস চিতোরগড়, বাকি সব গড়াইয়া’।


নতুন শহরের এক প্রান্তে একটি সুদীর্ঘ পাহাড়ের মাথায় গড় ১৫০ মিটার উচ্চতায় অনেকটা জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে প্রাচীর ঘেরা ঐতিহাসিক চিতোরের কেল্লা। কেল্লা তো নয়, যেন একটা শহর। পুরোটা ঘুরতে নাকি ১৩কিমি পথ অতিক্রম করতে হয়।গাম্ভিরি নদী পার হয়ে কেল্লার  পাদদেশ। খাড়াই রাস্তা শুরু। প্রথমে  পড়ে একটা সুপ্রাচীন ফটক, ‘পাদল পোল’। এরপর বাঁক খাওয়া খাড়াই রাস্তা বেয়ে আরো পাঁচটি গেট পেরিয়ে সপ্তম গেট ‘রামপোল'। এগুলি সবই কেল্লার পশ্চিম দিকের প্রবেশদ্বার। উপর থেকে একদিকে কেল্লার ভিতর ‘রাণা রতন সিংহের প্রাসাদ’ ও আরেক দিকে নিচের উপত্যকা ও চিতোর শহরের দৃশ্য দারুণ উপভোগ্য। এরপর একটা ছোট বসতি পার হয়ে কেল্লার মূল অংশে প্রবেশ। প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি মাত্র 20 টাকা,এবং ১৫ বছরের নীচের বাচ্চাদের জন্য ১৫ টাকা (২০১৯ সালে)। প্রতিদিন সকাল ৯.০০থেকে বিকেল ৫.০০ পর্যন্ত এই সুবিশাল কেল্লাটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। ৭০০ একর জায়গায় গোটা কেল্লা জুড়ে রয়েছে সেযুগের বহু প্রাসাদ ও সৌধ বা তার ভগ্নাবশেষ, বহু প্রাচীন মন্দির, কুন্ড, ৮৪টি ছোট জলাশয়, একটি মিউজিয়াম ও কিছু জনবসতি।

চলুন ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে চিতোরের বিখ্যাত চরিত্রগুলির সাথে একটু আলাপপরিচয়টা  সেরে নিই। 

১২৭৫ সাল, মেবারের সিংহাসনে তখন রাজা রতন সিং। রতন সিং এর বীরত্ব আর ন্যায়বোধের খ্যাতি ভারতবর্ষের গন্ডি পেরিয়ে সিংহলেও ছড়িয়ে পড়েছিলো।তখন সিংহলের রাজত্বভার ছিল এক চৌহান বংশীয় রাজপুত রাজা হামির শঙ্কের উপর। তাঁর এক অসামান্য রূপবতী কন্যা ছিলো, রাজকন্যা পদ্মিনী।হামির দেরী না করে রতন সিং কে নিজের জামাই করে সেই সাগর নন্দিনীকে আরাবল্লীর রুক্ষ ধুসর রাজপুতানার নববধু করে পাঠিয়ে দিলেন। 

তখন দিল্লীর সিংহাসনে সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজি।রতন সিং এর সভায় রাঘব চেতন নামে এক সঙ্গীতকার ছিলেন, যে আবার গোপনে জাদুবিদ্যা চর্চা করতো। সেসময় রাজ্যে জাদুবিদ্যা চর্চা নিষিদ্ধ ছিল। একদিন জাদুচর্চার সময় হাতে নাতে ধরা পড়লে রাজা তাকে রাজ্য থেকে নির্বাসিত করেন। এই অপমানের জ্বালায় প্রতিশোধপ্রবণ হয়ে ওঠে রাঘব চেতন। সে সোজা দিল্লী চলে গিয়ে সুলতান আলাউদ্দিন খিলজীর দরবারে আশ্রয় নেয়।সে জানতো সেই জঙ্গলে আলাউদ্দিন খিলজী নিয়মিত হরিণ শিকারে আসতেন। একদিন আলাউদ্দিন দলবল নিয়ে জঙ্গলে প্রবেশ করার পর রাঘব অতি সুমধুর সুরে বাঁশি বাজাতে থাকে। তার সুরে মুগ্ধ হয়ে আলাউদ্দিন নির্দেশ দেন তাকে ধরে আনার। সুলতানের সামনে উপস্থিত হয়ে কৌশলে রাঘব নিজের দুরভিসন্ধি কাজে লাগাতে শুরু করে। পদ্মিনীর রূপের সৌরভ অতিরঞ্জিত করে সে সম্রাটের কানে তুলে দেয়।খিলজির ধারনা ছিল দিল্লির সম্রাট হিসাবে তিনি যদি আকাশের চাঁদ দাবী করেন তাহলে চাঁদ স্বইচ্ছায় তার হাতে নেমে আসবে। সুতরাং এই নারীলিপ্সুক খিলজী তার অগনিত সৈণ্যসামন্ত নিয়ে হাজির হলেন মেবারের দ্বারপ্রান্তে।

সেখান থেকে বার্তা পাঠালেন মেবারের রাজপ্রাসাদে। দিল্লির সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ মেবারের রানী পদ্মিনীর রূপ লাবন্যে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে নিজ রাজধানীতে নিয়ে যেতে চান,যদি এই প্রচেষ্টা বাধাপ্রাপ্ত হয় তাহলে তিনি মেবারকে ধূলিসাৎ করে দেবেন। দুত অবধ্য, তাই হয়তো ভীমসিং এই বার্তা শুনেও দূতকে ফেরত পাঠালেন, সঙ্গে এটাও স্মরন করিয়ে দিতে ভুললেন না যে জিহ্বায় এই পাপ উচ্চারিত হয়েছে সেই জিহ্বা না ছিঁড়ে তিনি শান্তি পাবেন না। 

আলাউদ্দিন তার দলবল নিয়ে চিতোর দুর্গ অবরোধ করলো। মনে আশা অবরুদ্ধ অবস্থায় অচিরেই সন্ধির প্রস্তাব আসবে চিতোরের তরফ থেকে। কিন্তু মাসের পর মাস কেটে গেলেও চিতোরের তরফ থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে খিলজির সৈন্যদল বিরক্ত হয়ে উঠলো। তখন সম্রাট একটা চাল চাললেন। সম্রাটের দুত রাজার কাছে গিয়ে বললো সম্রাট পরাজয় স্বীকার করে দিল্লীতে ফিরে যেতে সম্মত আছেন কিন্তু ফিরে যাওয়ার আগে তিনি অন্তত একবার সেই প্রবাদপ্রতিম পদ্মিনীর রূপসুধা নিজের চোখে প্রতক্ষ করতে চান।নিশ্চিত যুদ্ধ এড়াতে রতন সিং এই শর্তে রাজি হয়ে যান। শর্ত থাকে যে, আলাউদ্দিনকে আয়নায় রানীর প্রতিচ্ছবি দেখতে হবে। মহলের একটি কক্ষে এমনভাবে কিছু আয়না স্থাপন করা হয় যাতে সরাসরি সাক্ষাৎ না করে দূর থেকেই রানী নিজের প্রতিবিম্ব দেখাতে পারেন। কিন্তু এই উপায়ে রানীকে চাক্ষুস দেখার পর আলাউদ্দিনের বদ অভিপ্রায় আরও দৃঢ় হয়ে ওঠে। যে করেই হোক পদ্মাবতীকে তার পেতেই হবে!শিবিরে ফেরার সময় কিছুদূর পর্যন্ত পথ রতন সিং আলাউদ্দিনকে এগিয়ে দিতে আসেন। এই সুযোগের ফায়দা নিয়ে আলাউদ্দিন রতন সিংকে তৎক্ষণাৎ অপহরণ করে ফেলেন। রাজার মুক্তিপণ হিসেবে তিনি দাবী করেন রানী পদ্মাবতীকে। গোরা আর বাদল নামে দুই বীর রাজপুত সেনাপতি তখন আলাউদ্দিন খিলজীকে তার নিজের খেলাতেই হারাবার ফন্দি আঁটেন। তারা খবর পাঠান, পরদিন সকালে রানী পদ্মাবতী তার দাসী-বাদিসহ পালকিতে খিলজীর শিবিরের দিকে রওনা দেবেন। পরদিন ১৫০, কোনো বর্ণনামতে ২০০ পালকি খিলজীর শিবিরের দিকে রওনা হয়। কিন্তু প্রত্যেকটি পালকি ছদ্মবেশে চারজন করে দুর্ধর্ষ রাজপুত যোদ্ধাদের দ্বারা বাহিত হচ্ছিল আর প্রত্যেক পালকিতে দাসীর বদলে লুকিয়ে ছিল আরও চারজন করে যোদ্ধা। এই প্রতিহিংসাপরায়ণ ভয়ানক সৈন্যদলটি খিলজীর শিবিরে পৌঁছেই অতর্কিত হামলাকরে বসে। আলাউদ্দিন খিলজীর শিবিরে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালিত করে এই সেনাদল রাজা রতন সিংকে মুক্ত করে নিয়ে যায়।রাজা রতন সিং এবং বাদল নিরাপদে চিতোরে ফিরলেও  গোরা এই যুদ্ধে বীরগতি প্রাপ্ত হয়।

এই ঘটনায় পরবর্তীতে দ্বিগুণ আক্রোশে আরও বেশি সৈন্য চালনা করে আলাউদ্দিন চিতোরের দুর্গ অবরোধ করেন। অতি সুরক্ষিত সেই দুর্গে প্রবেশ করতে না পারায় অবরোধই ছিল একমাত্র পথ। দিনের পর দিন অবরুদ্ধ থাকার পর দুর্গের ভেতরে রসদ ফুরিয়ে এলে রাজা রতন সিং সিদ্ধান্ত নেন দুর্গের ফটক খুলে মুখোমুখি হবার। দীর্ঘদিনের অবরুদ্ধ থাকার পর রাজপুতদের জন্য এ যুদ্ধ ছিল অসম যুদ্ধ। পদ্মাবতী ও দুর্গের অন্যান্য নারীরা জানতেন এ যুদ্ধে তাদের পুরুষদের জয়ের সম্ভাবনা কতোটা ক্ষীণ। এরকম পরিস্থিতিতে সম্মান রক্ষায় রাজপুত নারীদের মধ্যে ‘জওহর’ নামক আগুনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহননের এক রকম প্রথার প্রচলন ছিল। বিজয়ী সৈন্যদের হাতে লাঞ্চিত হবার চেয়ে মৃত্যুকেই তারা বেশি সুখকর মনে করলেন।

রাতে দুর্গের ভেতরে এক বিশালাকার অগ্নিকুন্ড জ্বালানো হলো। নিজেদের সবচেয়ে সুন্দর পোষাকে সজ্জিত হয়ে ধর্মীয় সঙ্গীত গেয়ে আত্মসম্মান রক্ষায় আগুনের আলিঙ্গনে অগ্রসর হলেন নারীরা। সবার আগে আগুনে ঝাঁপ দিলেন রানী পদ্মাবতী, অন্য নারীরা তাকে অনুসরণ করলেন। স্বজনহারা সৈনিকদের বেঁচে থাকার আর কোনো উপলক্ষ্য থাকলো না। পরদিন সকালে যুদ্ধের সাজে সেজে খিলজী বাহিনীর সাথে লড়তে বেরিয়ে গেলো রাজপুতদের দল। ফলাফল যা হবার তাই হলো। খিলজীর সেনাদল যখন দুর্গে প্রবেশ করল তখন শুধু নারীদের দেহাবশেষ আর ভস্মই পেলো। যার মোহে এতো জনবল ক্ষয় করলেন আলাউদ্দিন খিলজী, তাকে তার পাওয়া হলো না।




এই দুর্গের প্রথম গন্তব্য কুম্ভশ্যাম ও মীরাবাই মন্দির। একই কম্পাউন্ডের মধ্যে পাথরের উপর খোদাই করা অসাধারণ ভাস্কর্যের দুটি মন্দির। রাণা কুম্ভের দ্বারা ১৪৪৮ এ নির্মিত মন্দিরটিতে উপাস্য দেবতা শ্যাম অর্থাৎ কৃষ্ণ। আরেকটি মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণের উপাসনা করতেন মীরাবাই, যাঁর বিবাহ হয়েছিল মেবারের রাজপুত বংশে। চিতোরে শুধু তলোয়ারের ঝনঝন নয়, সুরও ছিলো। চিতোরের ইতিহাসে পদ্মিনীর পরই আর এক নারী মীরাবাঈ। কৃষ্ণপ্রেমে আপ্লুত হয়ে গান বাঁধতেন তিনি। তাঁর জন্য তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল মীরা মন্দির।কৃষ্ণমূর্তির পাদদেশ তানপুরা হাতে মীরার মূর্তি। মন্দিরের ভিতর এক অদ্ভুত মূর্তি দেখা যায়। পাঁচটি মানবমূর্তি আর একটাই মাথা। যা বোঝায়, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষই ভগবানের কাছে সমান।

এরপর ‘জহর কমপ্লেক্স‘ ও তার পাশে ‘বিজয় স্তম্ভ‘। এটিই চিতোর কেল্লার মূল আকর্ষণ।এই বিজয়স্তম্ভের একটা সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে। ১৪১৯ সাল,মেবারের রাজসিংহাসনে অভিষিক্ত হলেন মহারানা কুম্ভ।মালব রাজ্যের এক বিস্তীর্ন প্রান্তরে মালবরাজ মহম্মদ খিলজি আর গুর্জররাজের মিলিত বাহিনীর মুখোমুখি হলো মহারানা কুম্ভের বাহিনী।যদিও কুম্ভ ধারে ও ভারে  মিলিত সৈন্যবাহিনীর থেকে অনেক পেছনে ছিলেন কিন্তু তার যুদ্ধকৌশল ও শৌর্যের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ে মিলিত বাহিনী। বাকিদের সাথে গুর্জররাজ পালালেও মালবরাজ মহম্মদ খলজী বন্দী হলেন।তাকে শিকলে বেঁধে মেবারের কারাগারে নিখিপ্ত করা হয়।যদিও মহারানা কুম্ভ মাসছয়েক বাদে মহম্মদকে বিনা শর্তে মুক্তি দেন। এই যুদ্ধজয়ের ১১ বছর পরে রানা জয়ের চিহ্ন স্বরূপ ১০০ কুড়ি ফুট উঁচু নতলা এক স্মৃতিস্তম্ভ বানান যা তৈরি করতে প্রায় দশ বছর সময় লেগেছিলো।নবমতলে শ্রীকৃষ্ণের রাসমন্ডল অঙ্গিত,বাইরে আছে যুদ্ধের বিবরন আর রানাকুম্ভের প্রশস্তি।

বাগানের মধ্যে দিয়ে বামদিকে খানিক চলে পাহাড়ের গা কেটে বানানো একটি প্রাচীন মন্দির। পাথরের সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে ‘গৌমুখ কুন্ড‘। ন্যাচারাল স্প্রিং। বহু বছর ধরে জল পরে চলেছে পাহাড়ের গা থেকে নিরন্তর। কুন্ডে শিব লিঙ্গ। কুন্ডের মিষ্টি জলে নাকি রয়েছে অনেক গুণ। কুন্ডের জলে তৈরি, তিন দিক পাথরের প্রাচীরে ঘেরা, গাঢ় সবুজ রঙের ছোট জলাশয়টির ওপারেই খাদ ও অনেক নিচে চিতোর শহরের অনবদ্য দৃশ্য।


 কুন্ড দেখে ওপরে এসে দুটি পরিত্যক্ত মন্দিরের পাশ দিয়ে রাস্তা পৌঁছেছে একটি বাদামি বেলে পাথরের তৈরি বিশাল শিব মন্দিরে। কোনারক শৈলীর মন্দির গাত্রে, বাইরে ও ভিতরে, পাথরের গায়ে খোদাই করা অনবদ্য কারুকাজ।এছাড়াও আছে  পদ্মিনী প্যালেস। ঢুকলেই মনে হয় আজও বুঝি রানী নিজে হাতে যত্ন করে গাছে জল দেন। আলাউদ্দিন যে আয়না থেকে রানীর প্রতিবিম্ব দেখেছিলেন জলে সেই আয়নার জায়গায় আজও একইভাবে একটা আয়না রাখা আছে। পিছনে দেখা যায় সেই জলাশয়। 



শুধু  চিতোরগড় নয় চিতোরের আশেপাশে রয়েছে আরও অনেক দেখার জায়গা। দুর্গ থেকে বেরিয়ে কয়েক কিলোমিটার গেলেই অভয়ারণ্য। বিশেষ অনুমতি নিয়ে তবেই ঢুকতে হয় সেখানে। হরিণ, সাপ, উড়ে আসা পরিযায়ী অপেক্ষা করে সেখানে। আর সেসব যদি ভাগ্যে নাও জোটে তাহলে শুধু সবুজ আর জল দেখেই চোখ জুড়োয়।বড় বড় হ্রদে ঝুঁকে থাকা গাছের ডাল।

কিভাবে যাবেন ঃ-

উদয়পুর থেকে চিতোরগড়ের দুরত্ব ১১২ কিমি। সময় লাগে ঘন্টা তিনেক। এছাড়াও যোধপুর অথবা মাউন্ট আবু ঘুরেও চিতোরগড় যাওয়া যায়।

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

Keonjhar – A hidden Gem of Orissa

ঘাটশিলার ডায়েরী ( The story of Ghatshila )

মান্ডুর প্রেম কথা